পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা আরএসডি-বাহেরচর জিসি সড়ক নির্মাণের মাত্র একদিন পরই ধসে পড়েছে। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার এ বিষয়ে নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডি উপজেলার বগা থেকে কাছিপাড়া সড়কটি প্রশস্তকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। ১০ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ১৮ ফুটে উন্নীত করার জন্য একাধিক প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও সিডিউল না মানার অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সড়কটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সম্প্রসারিত অংশের একাধিক স্থান দেবে গেছে এবং কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকান প্যাদা ও মোকছেদুল ইসলাম বলেন, “সড়কের দুই পাশে পাইলিং করা দরকার ছিল, কিন্তু ঠিকাদার প্রথমে সাববেইজ ও ম্যাকাডাম করে, পরে পাইলিং নির্মাণ করেছে। এরপর ইটভাঙা ডাস্ট দিয়ে রোলার ছাড়াই কার্পেটিং করেছে। ফলে রোববার করা কার্পেটিং সোমবারই ধসে পড়ে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক জানান, ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬,৬৮৫ মিটার সড়ক নির্মাণের দায়িত্বে আছেন ঠিকাদার খায়রুল কবির রানা। তারা বলেন, “আমাদের যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে, আমরা সেভাবেই কাজ করেছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, “এভাবে জনগণের টাকায় নির্মিত সড়ক একদিনেই ধসে পড়লে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।”
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবুল কালাম অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “যে অংশ ধসে পড়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। এখনো ঠিকাদারকে কোনো বিল দেওয়া হয়নি। যেখানে সমস্যা হয়েছে, তা সংশোধন করিয়ে নেওয়ার পরই বিল পরিশোধ করা হবে।”