গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারির ঘোষণা দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি প্রচলিত নয়। বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি আসায় আমরা এ অভিযান পরিচালনা করেছি। একজন বিক্রেতাকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, “২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া কোনো পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে এক বছরের জেল হতে পারে।”
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও পরবর্তী সময়ে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়।
এক বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, “গরুর মাংসে চর্বি থাকলেও ঘোড়ার মাংসে নেই। এটি বেশি সুস্বাদু এবং খাওয়ার পর হাত ধোয়ার জন্য সাবানও লাগে না। প্রথমে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম, এখন বিক্রি করছি ৩০০ টাকায়।”
তবে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে এখন গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকে বলছেন, সুস্থ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে এ মাংস বাজারজাত করা গেলে তা বিক্রির সুযোগ থাকা উচিত।