রমজান মাসের শুরু থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে সাগরকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। যে সৈকত সাধারণত পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত থাকে, সেটি এখন অনেকটাই সুনসান।
সোমবার কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিচে বিছানো বেঞ্চগুলো খালি, স্পিডবোটগুলো অলস পড়ে আছে, আর দোকানগুলোয় বেচাকেনা নেই।
পর্যটক কম থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ী, শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ, ঝিনুক বিক্রেতা ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। হোটেল মালিকরা রুম ফাঁকা থাকার কারণে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানিয়েছেন, রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক কম থাকলেও শেষের দিকে বুকিং বাড়তে পারে।
সৈকতের আচার দোকানি আরাফাত হোসেন বলেন, “এখন পর্যটক নেই, দোকান খোলা রাখার চেষ্টা করলেও বিক্রি নেই, তাই ইফতারের আগেই বন্ধ করে দিচ্ছি।” ফটোগ্রাফার রহিম জানান, “রমজান শুরুর পর থেকে সৈকতে পর্যটক নেই, একদিনে একশ টাকাও কামাতে পারি না।”
তবে, পর্যটক না থাকলেও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, “পর্যটকশূন্য হলেও আমাদের টহল টিম সৈকতে দায়িত্ব পালন করছে, যাতে এখানে নিরাপত্তা বজায় থাকে।”