জেলার লেবুখালীতে অবস্থিত সেনানিবাসের নাম “পটুয়াখালী সেনানিবাস” করার দাবিতে আন্দোলনে নামছে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নাহিয়ান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকারের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লেবুখালী সেনানিবাসের নতুন নাম “বরিশাল সেনানিবাস” করা হয়েছে, যা পটুয়াখালীবাসীর জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সেনানিবাসের অধিকাংশ অংশ পটুয়াখালী জেলাধীন, এমনকি প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনেও লেবুখালী ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বরিশাল জেলার নামে নামকরণ করা পটুয়াখালীর জনগণকে উপেক্ষা করার শামিল।
তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হওয়া এ সেনানিবাস পটুয়াখালীর লেবুখালীতে ১৫৩২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভৌগোলিকভাবে সেনানিবাসের বড় অংশ পটুয়াখালীর মধ্যে থাকলেও এটি বরিশালের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যা একাডেমিক ও প্রশাসনিকভাবে বিভ্রান্তিকর।”
ঘোষণা সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৩ মার্চ – জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি পেশ, ১৪ মার্চ – সেনানিবাস সংলগ্ন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি, ১৫-২৫ মার্চ – প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিনিয়র সিটিজেনদের নেতৃত্বে জোরালো তদবির।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২৬ মার্চ পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাশার, নির্বাহী সদস্য সাইদুর খান পাবেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন না করা হলে, পটুয়াখালীবাসী আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।