পটুয়াখালীর জেলার বাউফল,দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় সাথে যাতাযাতের প্রধান সড়কে দীর্ঘদিনেও ফেরির স্থলে সেতু নির্মান না হওয়ায় তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে ভোগান্তি নিয়েই জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিগত সরকারের সময় একাধিকবার লোহালিয়া নদীর বগা নামক স্থানে ফেরির স্থলে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই সেতুটি দ্রুত নির্মান করার দাবী স্থানীয়দের।
শিক্ষা,সংস্কৃতি সহ অর্থনৈতিক সূচকে পটুয়াখালী জেলার সমৃদ্ধ এক জনপথ বাউফল উপজেলা। একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-২। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় এবং গত তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগের এমপি থাকলেও এই উপজেলা বাসীর প্রধান দাবী বগা সেতু নির্মান সম্ভব হয়নি। ঢাকা-পটুয়াখালী মহা সড়কের পায়রা সেতু থেকে দুমকি-বাউফল-দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা পর্যন্ত মোট ৮৬ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটারে লোহালিয়া নদীর উপর বগা ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। বাউফল উপজেলার উপর দিয়ে দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় যাতায়াতে এই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ফেরি ঘাটেও ঘন্টার পর ঘন্টা পন্য ও যাত্রীবহি যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি স্থানীয়দের ব্যবসা বানিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পরছে।
পটুয়াখালী-বগা-বাউফল সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাক চালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ফেরি ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এর থেকে বড় বড় নদীতেও ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে কিন্তু এই বগায় এখনও ফেড়ি পাড় হতে হয়, এতে করে আমাদের সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি ভাড়াও বেশি দিতে হয়। সঠিক সময় পন্য সরবরাহ করতে পারি না।’
এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জামিল আক্তার লিমন বলেন, ‘পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা সেতু থেকে দুমকি-বগা-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা-হয়ে আমড়াগাছিয়া পর্যন্ত মোট ৮৬ কিলোমিটার সড়ক। এই সড়কের ১১ কিলোমিটারে বগা স্থানে একটি সেতু নির্মানের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে চীনের সাথে একটি সমযোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ইতিমধ্যে ব্রিজের ফিজিবিলিটি স্টার্ডি সম্পন্ন হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহন এবং অধিগ্রহনে কি পরিমান অর্থ খরচ হবে সে বিষয়ে প্রকল্লন তৈরী করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে দ্রুত ডিপিপি প্রনয়ন করে কাজ সেতুর নির্মান কাজ শুরু করতে পারবো।’
পটুয়াখালীর বগা ফেরির স্থলে সেতু নির্মিত হলে জাতীয় মহা সড়কের সাথে এই তিন উপজেলার নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন জেলাবাসী।