পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইমাদুল হক প্রিন্স এর বাবা দক্ষিণাঞ্চলের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, অর্ধডজন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ আব্দুল ওহাব সাহেব খুলনার হুজুর (রহঃ) এর আজ ১৩ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।
২০১৯ ইং সালের এই দিনে আত্মীয় স্মজনসহ হাজারো ভক্তকে কাঁদিয়ে পরোপারে চলে যান দক্ষিণ বাংলার এই ইসলামীক স্কলার আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ আব্দুল ওহাব সাহেব খুলনার হুজুর (রহঃ)।
হযরতের অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের সদস্যরা যেমনি শোকাহত, তেমনি দেশের অগণিত মুসলিম ও অমুসলিম নর-নারীর চোখের পানিতে তার জন্য কায়েমেনাবাক্যে মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা জানান। হযরত খুলনার হুজুর (রহঃ) এর গোটা জীবনটাই ইসলামের জন্য নিবেদিত ছিল।
তিনি ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খুলনা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হুজুরের জীবনের সমগ্রটাই অধ্যাপনা এবং মানবকল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অসংখ্য গুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি তার এলাকার মুসলমানদের ইসলামের সঠিক দিশা পাইয়ে দিতে আমরণ চেষ্টা করেছিলেন।
হজরত খুলনার হুজুর (রহঃ) ছিলেন সব সময় সকল ধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। নাস্তিকতা, দেশদ্রোহ, ভন্ডামি, দুর্নীতি-দুষ্কৃতি, অত্যাচার, অবিচার, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সমাজ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ, অশ্লীলতা পরিহার, বেদায়াত উৎখাতসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। হুজুরের আন্দোলনের ফলে তার এলাকা থেকে যাত্রা পালা/আনন্দ মেলা তৎকালীন আয়োজকরা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যর সাথে দিবসটি পালনে তার প্রতিষ্ঠিত দেশের বিভিন্ন স্থানের মসজিদ, মাদ্রাসা, মার্কেট এবং তার কর্মস্থল গওহরডাঙ্গা, রাজাপুর, ভেরনবাড়ীয়া, ভাতকাঠি, দেবীপুর, তুষখালী, হদুয়া, চাঁদপুর ও নলছিঠি ফাজেল মাদ্রাসায় দোয়া মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলার নলছিটির খুলনা গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাহ ময়দানে সওয়াবে রেসানী, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া সকাল ৮টায় সম্মিলিতভাবে হুজুর (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত, সকাল ৯ টায় খতমে কোরআন, বাদ জোহর খতমে খাজেগান এবং বাদ মাগরিব হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য গত ২০১৯ইং সালের এই দিনে ৮৪ বছর বয়সে এই বরেণ্য শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেন। তার একমাত্র ছেলে পবিপ্রবি’র জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মাদ ইমাদুল হক (প্রিন্স) তার বাবা’র রুহের মাগফিরাত এর ‘জন্য সকল ইসলামপ্রীয় ভাই-বোনদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।