ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অপহরণের দুদিন পর পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বর পাড়া থেকে কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম কে উদ্ধার করা হয়। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা থেকে একটি বাসে ঢাকায় আসছিলেন সেলিম। ওই দিন গভীর রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস বাসটির গতিরোধ করে। এ সময় একদল লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় বাসে উঠে পড়ে। পরে সেলিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণও দাবি করেছিল।
আজ বিকেলে ডিএমপির (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর ডিবি তেজগাঁও বিভাগ সেলিমকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। একপর্যায়ে তারা অপহৃত ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বর পাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, সেলিমকে আটকে রাখা অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে ওই বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণের সঙ্গে জড়িত আরও চারজনকে আটক করা হয়। অপহরণকারীরা সেলিমের পরিবারের কাছ থেকে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছিল। পটুয়াখালীর মৌকরণ ইউনিয়নের এক ব্যক্তি পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাইসুলকে অপহরণ করিয়েছেন। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় অপহরণের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাইসুলকে উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি। এদিকে কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে উদ্ধারের পর তার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে পরে এতে দেখা যায় সেলিমকে ব্যাপক মারধর করার চিহ্ন দেয়া যাচ্ছে।