অনশনরত প্রেমিকা চাঁদনী জানায়, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারনে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা সাক্ষাত হতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজিন। কয়েক বছর পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত ৫ মাস যাবৎ সাজিন সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে জানতে পারলে প্রেমিকা চাদনী সাজিনের বাড়িতে আসেন।
প্রেমিকা চাঁদনী বলেন,‘আমি এই বাড়িতে আসার পর সাজিন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজিনের ঘরের সামনে গেলে সাজিনের মা, ফুফু ও বোন তিন জন মিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। গণমাধ্যম কর্মিরা এসে উপস্থিত হলে তাদের দেখে আমার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়। আমার মা থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী এই তরুনী আরও বলেন এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনেকরছি।’
অভিযুক্ত প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজিন বলেন,‘চাঁদনীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। তিনি আমার ছোট বোনের বান্ধবী এই সুবাধে আমার বোনের সাথে মাঝেই বাড়িতে আসতেন। এর বেশি কিছুই না।‘
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন,‘উক্ত ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিয়োগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্কের সত্যতা পেয়েছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছে।’