পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর যুগলের ৮দিনের গোপন অভিসার প্রকাশ পেয়েছে।
গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলো থেকে পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ২য় সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও একই অনুষদ ও সেমিষ্টারের মাইশা নামের শিক্ষার্থী যুগলকে আটক করা হয়। রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। অপরদিকে বেগম সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাইশার বাড়ি ঢাকায়। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও বাইরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, প্রায় এক সপ্তাহ যাবত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই শিক্ষার্থী যুগল জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় রুম বুকিং নিয়ে অবস্থান করে আসছিল। রবিবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলোর ভেতরে শিক্ষার্থী যুগলকে অবস্থান করতে দেখেন উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা। এ খবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি পরিষদ চত্বরে এসে তাদের আটকে রাখেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়ে ওই শিক্ষার্থী যুগলকে তাদের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মাহমুদ জানান, ওখানে যে কেউ বসবাস করছে তা আমি অবহিত ছিলাম না। আর কেয়ারটেকারকেও মোবাইলেও পাচ্ছি না। এ বিষয়ে জেলা পরিষদকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে।
পবিপ্রবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো: জিল্লুর রহমান জানান, আমার প্রক্টর মহোদয় আমাকে বলার পরে আমি গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। তবে পবিপ্রবি প্রক্টর ড. আবুল বাশার খান মুঠোফোনের কল রিসিভ না করা তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায় নি।