তবে পুরো সমাবেশ জুড়েই তৃনমূল বিএনপি নেতাদের মুখে ছিলো একই কথা ‘জাতীয়বাদী শক্তির বাইরে কাউকে তারা এ অঅসন থেকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিবে না।’ বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থাকা এবং নেতা কর্মীদের আগলে রাখায় হাসান মামুনকেই তারা পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ হাসান মামুন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ এক চিঠির কারনে গলাচিপা দশমিনার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এই চিঠির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে জোটের নেতারা বৈঠক করেছেন। তারা বলেছেন তারা কোথাও জনসভা, জনসংযোগ করতে পারছে না। আওয়ামীলীগের মতো বিএনপির নেতাকর্মীরাও নাকি তাদের উপর হামলা করছে। আপনারাই বলুন, গলাচিপা- দশমিনায় কখনো কোনো জোটের নেতাকর্মী বিএনপির দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছে ? আপনাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ তুলে যারা জাতীয়তাবাদী দলকে ছোট করেছে এবং যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গলাচিপা দশমিনাকে দাড় করিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবেন, বিশেষ করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর পটুয়াখালী- ৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারা শাহজাহান, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব জাকারিয়া হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল-আমীন হাওলাদার। সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন সহ জেলার এবং বিএনপি, মহিলাদল, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নূরকে (ভিপি নূর) পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) এলাকায় সহযোগিতা করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছিলো।