সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর নিউমার্কেট এলাকায় নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের এই ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারটি দেখা যায়। এসময় নিউমার্কেট এলাকা থেকে খোলা হদুল মরিচের গুড়া, গরুর দুধ ও পাউরুটির নমুনা সংগ্রহ করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের সদস্যরা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানানোর লক্ষ্যে ‘ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার জন্য একটি পরীক্ষাগার চালু করা হয়েছে। এর দায়িত্বে থাকবেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা। পরীক্ষাগারে ভোক্তারা নিজেদের আনা খাদ্য নমুনাও বিনা মূল্যে পরীক্ষার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন কারী ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে। পরীক্ষাগারটি প্রতি মাসে দুইদিন এই জেলায় থাকতে পারবে।
এ বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য মোঃ আবু রায়হান বলেন, ‘এই ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে ৩৩ টি খাদ্যের গুনগত মান যাচাই করা যাবে। যেসব এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়, সেখানে এই পরীক্ষাগার নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা করে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে। পাশাপাশি ওই সব খাদ্যপণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে। ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি অন্তত মাসে দুইবার জেলায় আসবে এবং আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় যাওয়ার চেস্টা করবো। আজ নিউ মার্কেট থেকে প্রায় ২০ টি খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এতে যদি ভেজাল পাওয়া যায় তাহলে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষাগারটি পরিদর্শন করা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক যাদব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুদ উল আলম, পটুয়াখালী পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর শারমিন সুলতানা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।