পটুয়াখালী দশমিনায় স্ত্রী হত্যা মামলায় প্রধান আসামী স্বামীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। বুধবার সকালে দশমিক বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ স্বেচ্ছায় হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নিদর্শন দেন।
জানা যায়, দশমিনা উপজেলা সদরের নলখোলা বন্দরস্থ ভাড়া বাসায় থাকতেন বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ দম্পত্তি। গত বছরের ৫ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ভাড়া বাসায় বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ এর স্ত্রী মৌসূমী আক্তার দুলুর মরদেহ উদ্ধার করেন দশমিনা থানা পুলিশ। ওই দিনই দুপুরে দুলুর মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। এদিকে দুলুর বড় ভাই মোঃ বিপ্লব বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং নারী শিশু ৫২০/২৩। পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারের জন্য দশমিনা থানায় প্রেরন করেন।দশমিনা থানার মামলা নং ১১৬/২৩। উক্ত মামলার প্রধান আসামী ছাড়া অন্য আসামীরা প্রথমে হাইকোর্ট পরে পটুয়াখালী জেলা জজ কোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর বুধবার দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামী আসাদুজ্জাম সোহাগ স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচার সমির মল্লীক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী নিহত মৌসূমী আক্তার দুলুর বড় ভাই বিপ্লব বলেন, আমার বোনকে হত্যা করে আসামীরা বাথরুমে ঝুলিয়ে রেখেছিল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ বুধবার প্রধান আসামী হাজির হয়েছে আদালত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমার বোনকে আসাদুজ্জামান সোহাগসহ তার ভাই ও নিকটতম আত্নীয়রা হত্যা করেছে। আদালতের উপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে আমারা ন্যায় বিচার পাবো।