২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, খুনি হাসিনা মেধাবী সেনা অফিসারদের ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে সেদিন মেধা ও সততার কবর রচনা শুরু করেন। তিনি অসৎ এবং মেধাহীন একটি রাষ্ট্র করার স্বপ্ন তৈরি করেছিলেন। সেদিন শুধু ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়নি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দখলবাজের দিন শেষ, সম্ভাবনার বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোনো সরকার এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। সৎ মানুষরাই জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জামায়াতের কলাপাড়া উপজেলা দক্ষিণ জোনের উদ্যোগে কুয়াকাটা পর্যটন ইয়ুথ ইন চত্বরে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
জামায়াত নেতা মাসুদ বলেন, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার দেশের পর্যটনশিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য লুট করে নিয়েছে, জমি দখল করেছে। এমন কোনো নিকৃষ্ট কাজ নেই যা তারা করেনি। আজ বাংলার জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাঈনুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মুহম্মদ শাহ আলম, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম খান, অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, সেক্রেটারি অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল কাইউম, সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
কুয়াকাটায় জামায়াতের আয়োজিত প্রথমবারের কর্মী সম্মেলনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জামায়াত-শিবিরসহ সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের ব্যবস্থাপনায় সংগীত পরিবেশন করেন কবির বিন সামাদ, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট।