পটুয়াখালীর বাউফলে একজনের জমির সংরক্ষিত ঘাস প্রতিবেশীর গরু খেয়েছে, এমন অভিযোগে জমির মালিক ও গরুর মালিকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৩সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতরা হলেন- রিয়াজ মুন্সী, তার স্ত্রী জেসমিন ও তার মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া এবং মহসিন মাতব্বরের স্ত্রী শাহনাজ ও তার ছেলে মেহেদি মাতব্বর। রিয়াজের পরিবারের তিনজন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। অন্য প্রতিপক্ষের মা-ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে৷
স্থানীয় সূত্র জানায়, শৌলা গ্রামের রিয়াজ মুন্সী (৫০) পেশায় একজন রাখাল। তিনি অন্যের গরু পালন করে। গরুকে খাওয়ানোর জন্য তিনি নিজ জমিতে ঘাস সংরক্ষণ করে রাখেন। সেই ঘাস খেয়ে ফেলেন প্রতিবেশী মহসিন মাতব্বরের (৫০) গৃহপালিত গরু। এনিয়ে গত শনিবার রিয়াজ ও মহসিনের বাকবিতন্ডায় জড়ায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন স্থানে সমালোচনা করে। বিষয়টি আজ মারামারিতে রূপ নিয়েছে। রিয়াজের বাড়িতেই দুপক্ষের মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত রিয়াজ মুন্সী বলেন, আমি বর্গায় (চুক্তিভিত্তিক) গরু পালন করি। গরুকে খাওয়ানোর জন্য চুক্তিতে বছর মেয়াদে কিছু জমি লীজ (ভাড়া) নিয়ে সেখানে ঘাস চাষ করি। মহসিন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সংরক্ষিত ঘাসের জমিতে গরু চড়ায়। তার গরু নিয়মিত আমার চাষ করা ঘাস খেয়ে ফেলে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে তার দলবলসহ আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত মহসিন মাতব্বর বলেন, আমার তার ঘাস খায়নি। মূলত, আমার ভাইর সাথে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তিনি রিয়াজকে ভাড়া করে আমার স্ত্রী ও সন্তানের ওপর হামলা করিয়েছেন।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন বাউফল থানার পরির্দশক (তদন্ত) মো. আতিক।