পটুয়াখালীতে কেন্দ্রীয় গন অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন,‘ বিএনপিসহ সহ আমরা ৪২ টি দল যুগপৎ আন্দোলন করেছি কিন্তু দুঃখের বিষয় ক্ষমতায় যেতে না যেতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের চেহারার পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদীদের প্রতিধ্বনি বিএনপির মধ্যে শুনতে পাচ্ছি। পরিষ্কার কথা, যারা ১৫ বছর আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে তাদের নিয়ে যদি বিএনপি জাতীয় সরকার নির্বাচন করে তাহলে তাদের সাথে সমঝোতা হবে। অন্যথায়, বিএনপির বিকল্প জোট হয়ে, বিকল্প শক্তি নিয়ে একক ভাবে নির্বাচন করা হবে।’
শুক্রবার বিকেলে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে আগমন উপলক্ষে শহরের ঝাউতলাস্থ শহিদ মিনারের পাদদেশে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় নূরুল হক নূর বলেন,‘কোন দল যেন আগামী সংসদে এককভাবে মাতব্বরি না করতে পারে সেজন্য আমরা সংখ্যাানুগতিক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। প্রতিটি রাজনীতির দল যে অনুসারে ভোট পাবে সে অনুসারে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এক ঢল এককভাবে সংসদে গেলে কি হয় তা আমরা গত ৫০ বছরে দেখেছি। আর কোন দলকে এককভাবে ক্ষমতায় নিয়ে গিয়ে আমরা স্বৈরাচারী হতে দেব না।’
জনগণের উদ্দেশ্যে নূরুল হক নূর বলেন,’কয়েকদিন যাবত একদল চাঁদাবাজ দখলবাজ, লুটপাটকারী, মাস্তান বাহিনী দেখতে পাচ্ছি, কাজেই জনগনকে এদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এদের বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া যাবে না। শেখ হাসিনা বলেছিল, আমি শেখ মুজিবুর কন্যা, আমি দেশ ছেড়ে পালাইনা কিন্তু যখন জনগন রাস্তায় নেমেছে শেখ হাসিনা ঠিকই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’
বিভিন্ন দলের উদ্দেশে করে গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন,’ এই দেশের তরুণরা কারো ক্ষমতায় যাওয়ার শিরি হওয়ার জন্য রক্ত দিবে না, কারো লাঠিয়াল বাহিনী হওয়ার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী হবে না। এ দেশের তরুণরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য, নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য সংগঠিত হচ্ছে।’
প্রশাসনের উদ্যেশ্যে বলেন,‘ আমার নিজ জেলায় আসতে আজ বাঁধা দেয়া হয়েছে, গলাচিপা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের আসার পথে যারা বাঁধা দিয়েছে তারা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তি। আমাদের আইন বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আশুলিয়ায় নেতাকর্মীদের পোষ্টার ছিড়েছেন। আপনারা যে দলেরই হয়ে থাকেন না কেন এই ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণ করলে আপনাদের পরিনতি হবে ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের মতো। প্রশাসনকে বলবো এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসেন প্রার্থী দিবে গন অধিকার পরিষদ। প্রত্যেকের বয় হবে ৩০, ৪০ ও ৫০ বছরের মধ্যে। কারন আগামীতে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুনদের সংগঠিত প্রয়োজন। যারা এমপি, পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচন করবেন এখন থেকে জনগনের কাছে যেতে হবে, জনগনের কাছে নিজেদের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা গন অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. শাহ আলম শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন ও রবিউল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নাদিম হাসান প্রমুখ।