পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক দুই মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ৫৮ নেতাকর্মীর নামে পেনাল কোড ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সোহেল বাদী হয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় মামলাটি করেন। কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ক্যাডার তৈরি করে অসহায় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপরে জুলুম ও অত্যাচার চালানোর অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু অনন্ত মুখার্জির নেতৃত্বে বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালায় দলটি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররা। এতে দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আসামিরা রঙিন টিভি, সিলিং ফ্যান, ষ্ট্যান্ড ফ্যান, মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাবপত্রসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। এছাড়া নগদ ৬০ হাজার টাকা ও চেয়ার টেবিল লুট করা হয়। এ সময় আসামিরা বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং ঘটনার পর পর কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রাণ রক্ষায় দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। ওই সময় আসামিরা তৎকালীন সরকারি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের নামে তখন মামলা করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. সাইদুর রহমান সোহেল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন করে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। বর্তমানে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আমার ওপরে যে হামলা হয়েছিল, সেই হামলার বিচার চেয়ে মামলা করেছি।
মামলায় সাবেক মেয়র ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে এক নম্বর আসামি এবং কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদারকে দুই নাম্বার আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ৫৮ নেতাকর্মীর নামে মামলাটি করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগের ৫৮ নেতাকর্মীদের নামে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।