হামলা, ভাঙচুর ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মো. আলমগীর , বাউফল পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েল ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খানসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০-৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শণিবার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। খলিলুরের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১০ জুন সকালে বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল একই ইউনিয়নের ৯৮ নম্বর গোসিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলায় কর্মিসভার আয়োজন করে। সভা শুরু হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা লাঠিসোঁটা, দা, রামদা, লোহার পাইপ, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিটন, সদস্যসচিব মো. নাইম আহম্মেদ, দলের কর্মী মো. সজীব, মিরাজ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গায়েন বলেন, ‘ মামলার এক নম্বর আসামি আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
গত শুক্রবার রাতে ঢাকার বনানী থেকে আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি শোণিত কুমার জানিয়েছেন। পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।