পটুয়াখালীর কুয়াকাটার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২১ আগষ্ট) মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের ডংকুপাড়া বটতলা এলাকায় ভুক্তভোগী পাঁচ শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, সন্ত্রাসী মিরাজ গাজী আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১০ সালে রুবেল হাওলাদার নামে এক মোটরসাইকেল চালককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শাহিন নামের আরেক মোটরসাইকেল চালককে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। সন্ত্রাসী মিরাজ গাজীর পিতা রহমান গাজী ও চাচা নাসির গাজী একই এলাকার রফেজ মুসুল্লি নামের বৃদ্ধাকে কুপিয়ে মৃত্যু ভেবে ফেলে দেয়। উন্নত চিকিৎসায় সে বেঁচে যায়। তাদের হামলায় মৃত্যু শয্যায় আছেন নুরজাহান নামের এক বৃদ্ধ মহিলা। এছাড়াও গাজী গ্রুপ নামে পরিচিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা এলাকার বহু মানুষ হামলার শিকার হয়েছে। মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব হয়েছেন বহু পরিবার। সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে এতদিন অতিষ্ঠ ছিল এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ছেলে রুবেল হত্যার বিচার চেয়ে পিতা মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। আজও আমি কোন বিচার পাইনি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান তিনি।
হামলার শিকার রফেজ মুসুল্লি বলেন, ওরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে চলে যায়। মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এত বছর আমার রেকর্ডীয় জমি ভোগদখল করতে পারিনি। আমি এখন ন্যায় বিচার চাই।
আরেক ভুক্তভোগী নাসির মুন্সী বলেন, আমি বিএনপি করায় বটতলা আসলেই হামলা করত এ সন্ত্রাসী বাহিনী। এমনকি আমার রেকর্ডীয় জমি এত বছর ভোগদখল করেছেন তারা।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। কেউ অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ছেলে রুবেল হত্যার বিচার চেয়ে পিতা মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। আজও আমি কোন বিচার পাইনি। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান তিনি।
হামলার শিকার রফেজ মুসুল্লি বলেন, ওরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে চলে যায়। মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এত বছর আমার রেকর্ডীয় জমি ভোগদখল করতে পারিনি। আমি এখন ন্যায় বিচার চাই।
আরেক ভুক্তভোগী নাসির মুন্সী বলেন, আমি বিএনপি করায় বটতলা আসলেই হামলা করত এ সন্ত্রাসী বাহিনী। এমনকি আমার রেকর্ডীয় জমি এত বছর ভোগদখল করেছেন তারা।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। কেউ অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।