পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় জেলার সর্বপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হালমার ঘটনায়, শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চিত হওয়া পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষকদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মেরুদন্ড যুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে মর্মে ফেইসবুকে একটি ব্যাঞ্জাতক জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (২ আগষ্ট) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। আর এতেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মোঃ বনি আমিন অপু নামে একটি ফেইসবুক একাউন্ট থেকে পোষ্ট করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তাদের উপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষকদের মৃত্যু হয়েছে। সারাজীবন ন্যায় এর পাঠ পড়িয়ে, ন্যায় এর আন্দোলনে পাশে না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করা হলো। সকল শিক্ষকদের মৃত্যুর পর অত্র বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটে ভুগছে। তাই বিদ্যালয়ের বর্তমান এবং বিগত সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে নতুন শক্ত মেরুদন্ড যুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এমতাবস্থায় দেশের সকল বিদ্যালয় হতে মেরুদন্ড যুক্ত শিক্ষকদের আবেদন করার আহ্বান করা হলো।
নিয়োগ পত্রে যোগ্যতা সরূপ ৩ টা বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে: মেরুদন্ড থাকতে হবে। নিজের শেখানো বিদ্যার ওপর নিজের অটল থাকতে হবে। বাবার মতো স্নেহ করতে হবে ও আদর্শবান হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর সাহস থাকতে হবে।
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এর, সকল শিক্ষক মৃত্যুবরণ করায় তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ব্যাঞ্জাতক এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই বিজ্ঞপ্তিটি তাদের টাইমলাইনে শেয়ার করছেন।
তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন এর মতাতম জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই বিকেলে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঢুকে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেধরক মারধর করে। এর বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তবে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।