পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। রবিবার (১২মে) সকাল আনুমানিক ১০.৫০ মিনিটের সময় এই ঘটনা ঘটেছে।
সহপাঠীরা জানায়, ক্লাস চলাকালীন সময় নিহত শিক্ষার্থী প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার কথা বলে শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শ্রেণীকক্ষ থেকে বাইরে যায়। তখন বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল কোর্স ভবনের ছাদে একজন ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রিসিয়ান কাজ করছিলেন। ওই ছাদে ওঠার নির্দিষ্ট কোনো সিঁড়ি নেই। একটি ছোট স্থান দিয়ে মই এর মাধ্যমে ওই ছাদে উঠতে হয়। ইলেক্ট্রিসিয়ান কাজের জন্য যেই মই ব্যবহার করেছিলো কৌতুহলবসত সেই মই দিয়ে ছাদে ওঠে নিহত শিক্ষার্থী বেল্লাল হোসেন (১৬)। এরপরে হঠাৎ ছাদে শব্দ হলে সহপাঠীরা দৌড়ে ছাদে গিয়ে নিহত শিক্ষার্থীকে দেখতে পায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এসময় ওই ইলেক্ট্রিসিয়ান মই নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সহপাঠীরা নিহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকার পরেও বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন হাসপাতালে না আসায় নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এসময় নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের আহাজারিতে ভাড়ি হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। ঘটনাস্থলে দেখা যায় বিদ্যালয়ের ছাদের একদম কাছে বিদ্যুতের তার সংযোগ রয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিপজ্জনক মনে করছে অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন জানান, ওই ইলেক্ট্রিসিয়ানের ছাদে ওঠার বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতো না। পাশের ভাড়া দোকানের ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক করার জন্য তিনি ছাদে উঠেছিলো। পরে শিক্ষার্থী আহত হলে ইলেক্ট্রিসিয়ান পালিয়ে যায়৷
বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীর সুরতহাল করেছে। শিক্ষার্থীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।