পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া গ্রামে খাল সংস্কারের নামে বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। ৯/১০ বছর বয়সী প্রায় অর্ধশত মেহগনি প্রজাতির গাছ উপড়ে ফেলে ধবংস করা হয়েছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এডভোকেট সোহরাব হোসেনের মালিকানাধীন রেকর্ডিও বাড়িতে জন্মানো এসব গাছ সোমবার ধ্বংস করা হয়। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহরাব হোসেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
স্তানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পটুয়াখালী সদর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাসটেইনেবল স্মল স্কেল ওয়াটার রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট পকল্পের আওতায় কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া খাল (ইসহাক মডেল কলেজের দক্ষিণ পাশে) সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ওই খালের পাড়ে সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের রেকর্ডিও জমিতে লাগানো প্রায় অর্ধশত ৯/১০ বছর বয়সী মেহগনি গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এখানে কাজ করার আগে তাকে অবগত করা হয়নি। এমনকি খাল সংস্কারের জন্য গাছগুরো অপসারনেরও কোন আগাম নোটিশ দেয়া হয়নি। উপরন্ত স্থানীয়রা এভাবে গাছগুলো ধবংস না করার জন্য অনুরোধ করলেও সংশ্লিষ্টরা তাতে কর্ণপাত করেনি। এছাড়াও খালটির পাড়ে আরও অন্যান্য বাড়িঘর থাকলেও ওইসব বাড়ি-ঘরের গাছপালার একটি ডালপালাও কাটা হয়নি। এভাবে আক্রোশমূলক কর্মকান্ডে এলাকাবাসিও হতবাক।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সোহরাব হোসেন জানান, আমার রোপনকৃত মেহগনি গাছগুলো কাটার আগে আমাকে জানানো হয়নি। সরকার যেখানে বৃক্ষ রোপনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন সেখানে সরকারি প্রকল্পের নামে বৃক্ষ নিধন কোনভাবেই কাম্য নয় তারা আগে থেকে জানালে আমি গাছগুলো পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করতে পারতাম। তা না করে তারা অঅমার কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতিসহ পরিবেশেরও অপুরনীয় ক্ষতি করেছে। বিষয়টি আমি এলজিইডি, বন বভিাগসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে এর প্রতিকার দাবি করেছি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান মেহেদী জানান, কারো ব্যক্তিগত সম্পদ ক্ষতি করে সরকারি কাজ করার নিয়ম নেই। বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।