গণ অধিকার পরিষদদের (জিওপি) কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘এই ধরনের মাজা ভাঙ্গা উপদেষ্টা দিয়ে দেশের সংস্কার সম্ভব না। বয়সের ভারে তারা তো নিজেরাই চলতে পারে না দেশ কিভাবে চালাবে। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতের এই দেশের দায়িত্ব দিন সংস্কার যা করা দরকার তারাই করবে।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন,‘ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তারা দেশের এই কঠিন সময়ে সরকারের দায়িত্ব নিয়েছে। একই সাথে তাদেরকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের যে আশা ভরসা নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছি আপনারা তার প্রতিফলন দিতে পারেননি। আমাদের স্পষ্ট কথা হয়তো আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করুন নয়তো পথ ছেড়ে দিন। কারণ আমরা তামাশা দেখার জন্য সংস্কারের নামে নাটক দেখার জন্য আপনাদের ওখানে বসাইনি। আমরাও সংস্কারের কথা বলি আমরাও সময় দিতে চাই। কিন্তু ছাত্র-জনতা যে প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের বসিয়েছে ছয় মাস কেন, ছয় বছরেও আপনারা সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন না।
মানববন্ধনে গন অধিকার পরিষদেরর উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফাতিমা তাসনিম, জেলা সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম শিকদার সহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন, এসময় বক্তারা বলেন, “গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।” তারা আরও দাবি জানান, বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তি থেকে বাঁচতে না পারে।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল ও মাবববন্ধনে জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুম্মান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মহসিন ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহামুদ সহ জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মুহাম্মদ আরেফিনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যেখানে বর্তমান সরকারের কাছে গনহত্যাকারীদের বিচার সহ গুরুত্বপূর্ণ পাচটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে।