এর আগে গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন বা অন্য কোনো প্রচারণায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও নির্দেশনা মানেনি অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আদালত প্রাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মডেল মসজিদের সামনে বড় একটি ব্যানারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ছবিসহ টাঙ্গানো। এবং বৈষম্য বিরোধী বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধর ও ছবি রয়েছে। এছাড়া ব্যানারে লেখা আছে, ২য় বার স্বাধীন হওয়ায় বাংলাদেশের নবগঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ উইনূস (সঠিক বানান, ইউনূস) সহ সকল উপদেষ্টা মহোদয়গনকে রক্তিম শুভেচ্ছা ও বিপ্লবী অভিনন্দন। সেখানে, মাকসুদুর রহমান নিজের একটি ছবি ব্যবহার করে আইনজীবী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক হিসেবে সৌজন্যতা জানান তিনি।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান বলেন,’ অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করলে আমি পরের দিন সকালে ব্যানার টাঙ্গাই, এবং ব্যানারটি আগের দিনই করা হয়েছিল।’
প্রধান উপদেষ্টার ছবি ব্যবহার নিষেধ থাকলেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন কি না জানতে চাইলে বলেন,‘ প্রধান উপদেষ্টার ছবি ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছে আমি জানতাম না, আমার নলেজে নাই।’
এ ব্যাপারে জেলা জাতীয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন বলেন,‘ সে ( মাকসুদুর রহমান) আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন এখন পদে নেই সদস্য হিসেবে আছে। সে যেই ব্যানারটি টাঙ্গিয়েছে সেখানে আইনজীবী ফোরামের কথা লেখেনি। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টার এবং কারো নামেই ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙ্গানো নিষেধ সেহেতু তিনি কাজটি ঠিক করেনি। আমি এবং আমাদের সভাপতি তাকে বলেছি তিনি দ্রুত ব্যানারটি নামিয়ে ফেলবেন।