পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মোসাঃ খাদিজা আক্তার হাসি নামের এক ভুক্তভোগী নারী। মামলাটি পটুয়াখালী আদালতে সিআর ২৯/২৫ নম্বরে রেকর্ড হয়েছে এবং বর্তমানে সিআইডির তদন্তাধীন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে দৈনিক মজুরিভিত্তিক লাইব্রেরীয়ান পদে কাজ শুরু করেন মোসাঃ খাদিজা আক্তার হাসি। ২০১৮ সালে আউটসোর্সিং মাধ্যমে চাকরি শুরু করার পর ঠিকাদার কুদ্দুস মিয়া তাকে পদে বহাল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগদ দুই লাখ টাকা জামানত নেয়।
পরবর্তীতে, সাইদুর রহমান এবং কুদ্দুস মিয়া চাকরি স্থায়ী করার নামে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। তাদের প্রতিশ্রুতির পরও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত চাইলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
ভুক্তভোগী নারী মোসাঃ খাদিজা আক্তার হাসি জানান, তার মাসিক বেতন থেকে সাইদুর ও কুদ্দুস প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে কেটে নিতেন। সাইদুর রহমান তার একাউন্টেন্ট পদে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে সাইদুর রহমান ভুক্তভোগীর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, সাইদুর এবং কুদ্দুস দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজে আধিপত্য বজায় রেখে ভুক্তভোগীসহ আরও অনেককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তিনি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চান। সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অভিযুক্ত সাইদুর রহমান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতন থেকে অর্থ কেটে নেওয়া কিংবা চাকরি স্থায়ী করার নামে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার কারণে ভুক্তভোগীর হাজিরা বন্ধ হয়েছে, এতে আমার ব্যক্তিগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি সরকারি নীতিমালার মধ্যেই দায়িত্ব পালন করছি। এই অভিযোগ আমার এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র। তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানাই।”
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের এই ঘটনা নিয়ে কলেজ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।