নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন এর জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার বিকেল থেকে ১ম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ইউনিটটি আবারও চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় দক্ষিণঅঞ্চলের লোডশের্ডি এর পরিমান বেড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পরছেন সবাই।
পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২০ সাল থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হকে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট দুটি ইইউনিট থেকে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। তবে গত ২৪ জুন বিকেলে প্লান্টের ১ম ইউনিটের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তা বন্ধ করা হয়। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা বলেন, নিয়মিত রক্ষানাবেক্ষনের কাজটি সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটিও চালু করা হবে। আশা করছি আগামী ২জুলাই পুরো দমে বন্ধ ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই ছন্দ পতনের ফলে পটুয়াখালী সহ দক্ষিণ অঞ্চলের লোডশেডিং এর পরিমান বেড়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলো।
কুয়াকাটা ট্যূর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এখন বিদ্যুৎ এর ভোগান্তি সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিনি চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে এবং দীর্গ সময় পর বিদ্যুৎ আসছে। এই দীর্ঘ সময় তো জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানী করতে কয়।