পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ৩০ ডিসেম্বর রাতে পটুয়াখালী শহরের বনানী মোড় সংলগ্ন জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ছাত্রদলের দুই কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন সবুজবাগ মোড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রব মিয়ার ছেলে মোঃ নয়ন (২৪) এবং গলাচিপা উজেলার সাধন চন্দ্র দেবনাথের ছেলে কৌশিক চন্দ্র দেবনাথ(২২)। আহতদের সোমবার রাতেই গুরুতর অবস্থা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নয়ন এবং কৌশিক জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ শামীম চৌধুরীর অনুসারী।
জেলা ছাত্রদলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, কোনো এক মারফতের টাকা বন্টন নিয়ে সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ ও আহবায়ক শামীম চৌধুরীর কর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে আহবায়ক শামীম চৌধুরীর কর্মীরা বনানী মোড় এলাকায় আসলে সেখানে সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ এর কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের জড়ান তারা। সংঘর্ষে শামীম চৌধুরীর দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।
এবিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া আহমেদ বলেন,‘ নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারনে এই ঘটনাটা ঘটছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে আসছি। ওরা (শামীম চৌধুরীর অনুসারী) ১০-১২ জন বনানী মোর আসছিলো তখন আমাদের ছোট ভাইদের সাথে একটু হাতাহাতি হয়। ওই সহময় হয়তো কেউ লাঠিসোঁটা দিয়ে হয়তো বারি দিছে। আমরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করতেছি।’ এসময় তিনি সংবাদ প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানান।
জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ শামীম চৌধুরী বলেন,‘এটা ছেলেপেলেদের নিজেদের মধ্যের ঝামেলা। কিন্তু অনেকেই সেটাকে শামীম গ্রুপ ও জাকারিয়া গ্রুপের দন্দ বলে চালাচ্ছে।’
এদিকে এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তৌফিক আলী খান কবির বলেন,‘অবশ্যই এটা দুঃখজনক! আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তিনি বারবার আমাদের বলে যাচ্ছেন দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা কি কারনে করেছে ঠিক জানি না, তবে যে কারনেই করুক এটা অবশ্য দুঃখজনক এবং দলের জন্য এটা ক্ষতিকর।’ ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখার জন্য সবাইকে আহবান জানান এই সাবেক ছাত্রনেতা।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম বলেন,’পুরো ঘটনা আমার ভালো ভাবে জানা নেই। এখন খোজ নিয়ে দেখছি ঘটনাটি কেন ঘটেছিলো।’