স্বাধীনতা ৫৪ বছর পার হয়ে গিয়েছে এখন দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এমন এক বাংলাদেশ যেখানে একজন রিকশাচালক শ্রমিক মজুর যে বিচার পাবে ঠিক একই বিচার পাবে সচিব এবং এমপি-মন্ত্রীরা। বক্তব্য এভাবেই নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের হল রুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। তাঁর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই সভাটি আয়োজন করে। প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে রাষ্ট্র সংস্কার, গণঅভ্যুত্থান ও দেশের ভবিষ্যৎ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
মতবিনিময়কালে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন সানজানা আফিফা অদিতি, এম এ সাঈদ, রাইয়ান ফেরদৌস সিনথিয়া, হাসিবুল হোসেন শান্ত, মোবাশ্বেরা শহীদুল ইসলাম শাহেদ, তৌহিদ আহমেদ আশিক, এবং জিহাদ হোসাইন।
মতবিনিময় শেষে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আমরা বাংলাদেশের পুর্ণ গঠন চাচ্ছি। পুনর্গঠন না হলে কিছুদিন পর আবার এক ফেসিস্ট আসবে, আবার এক স্বৈরাচার আসবে, যারা সাধারণ মানুষের কথা শুনবে না, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে, স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করবে, সীমান্ত পিক দেখাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করবে। এমন বাংলাদেশ অথবা এমন রাজনৈতিক পরিবেশ আমরা চাই না।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশের ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান যেন ব্যর্থ না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।