পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে টেলিভিশন এবং দৈনিক যুগান্তরের কায়াকাটা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও তার পরিবার। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের দিনেই মতিউর রহমান ও তার লোকজন সাংবাদিক বিপ্লাবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর সহ তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে দখল করে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন যাবত মতিউর রহমানের সাথে তার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তবে গত ৫ আগস্ট বিকেলে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের খবরে কুয়াকাটার আলীপুরে অবস্থিত তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্রসহ একদল উশৃখল যুবক ভাঙচুর চালায় ও লুটপাট করে। পরে ওই দিনই নাসির উদ্দিন বিপ্লবের বাড়ির দুটি ঘরের একটি সম্পূর্ণ ভেঙে নিয়ে যায় এবং অপর ঘরটি দখল করেন নেয়। আর এতে নেতৃত্ব দেন মতিউরের ভাই মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান মিলন ও লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো: মিজানুর রহমান।
এ বিষয় ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ‘এই হামলা এবং দখল কোনভাবে রাজনৈতিক নয়, রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে চালিয়ে দিতে সময়টাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমার পরিবারের সাথে মতিউরের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে তারা এলাকায় ভিত্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। তাদের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবগত রয়েছেন।’
এদিকে মতিউর রহমান এবং তার ভাই মিজানুর রহমান ও আতিকুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে আলীপুরের ইসলামিয়া মোবাইল সেন্টার, জোমাদ্দার ফার্মেসি, দিদার মেডিকেল হল, মোল্লা ট্রেডার্স, বিসমিল্লাহ রেস্তোরাঁসহ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তবে মতিউরদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন,’ আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে দেখেন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের কারো এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই।’