পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি তীব্র বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা। সাপটির আনুমানিক ওজন ৩ কেজি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব হলদিবাড়িয়া গ্রামের দেওয়ান বাড়ির কবরস্থানের জালে পেঁচানো অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়।
এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর উদ্ধারকর্মী মাসুদ হাসান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের সংগঠনের হটলাইন নম্বরে একটি কল আসে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মী মঞ্জিল ও মাহাবুবকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কালোর মধ্যে হলুদ ডোরা বিশিষ্ট শঙ্খিনী সাপটি জালে আটকা পড়ে আছে। পরে তারা সাপটিকে উদ্ধার করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেন। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘দু’মুখো সাপ’ নামেও পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, প্রথমে সাপটি দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। তবে পরে এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা এসে সাপটি উদ্ধার করেন এবং জানান যে এটি একটি উপকারী সাপ, তাই মেরে ফেলা ঠিক হবে না।
এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর টিম লিডার বায়েজিদ মুন্সী বলেন, “শঙ্খিনী সাপ মূলত শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। সাধারণত এসব সাপ মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। এমনকি বিরক্ত করলে শরীর পেঁচিয়ে মাথা লুকিয়ে রাখে। ফলে মানুষের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না। তবে এটি শিকারে অত্যন্ত দ্রুত ও কার্যকরী। বিশেষ করে অন্যান্য বিষাক্ত সাপ খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে।”
তিনি আরও জানান, সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী দলের সদস্যরা সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্যপ্রাণী দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে প্রথমে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এসব প্রাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।