কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, যারা মনে করছেন এক দেড় মাস আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছেন তারা স্বপ্নের রাজ্যে বাস করছেন অথবা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। সবার মনে রাখা উচিত যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপির আন্দোলন করতে ছিলো সেই আন্দোলনে এখনো আমরা আছি এবং বাংলাদেশে যতদিন জনগণের সরকার নির্বাচিত না হয়, যতদিন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচিত সরকার না পাই, ততদিন আমাদের আন্দলোন থামবে না।
শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী শহরের পুরাতন আদালত মাঠে জেলা বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, আমরা আশা করি এই বিএনপিই পারবে বাংলাদেশের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। মানুষের সব রকমের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক স্বাধীনতা, মৌলিক স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে। যারা এখন বলতেছে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র হইছি স্বাধীনের আগে মানেটা বুঝতে হবে। প্রথম বাংলাদেশের বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে, আমরা এখন পর্যন্ত একই লক্ষে আছি এবং কোন নড়াচড়া হবে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব দলকে সুসংঘটিত করা। আমাদের নেতা নির্দেশে আমরা সেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সামনে যতই কঠিন সময় আসুক না কেন আমাদের দলকে সাংগঠনিক শক্তিশালী করার জন্য আমরা সেটাকে উত্তরন ঘটাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে গগনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বা অবাধ সুষ্ঠু গ্রহনযোগ্য একটা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা সেই ২০০৭ সাল থেকে আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই করে আসছি। দুটি কাজ, এক হলো সরকারের পতন ও পতনের মাধ্যম দিয়ে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং সেই নির্বাচনে গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, গত ১৮ বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে৷ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক লক্ষ ৬০ হাজার মামলা হয়েছে। বিএনপির ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীর মামলার আসামি হয়েছে। সবার মনে রাখা উচিত যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করছে তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। যে পর্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়। ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঞ্চালনায় কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুস রহমান এবং মাহবুবুল হক নান্নু৷
এদিকে কর্মী সভার শুরুর দিকে শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে৷ এতে চার জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।