শনিবার ( ১৯ অক্টোবর) বিকেলে পায়রা নদীর লেবুখালী অংশে এই অভিযান পরিচালিত চালিত হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, এবং মাছ গুলো এতিম খানায় বিতরন করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, যাদব সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান, জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত আরা জামান উর্মি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীন মাহমুদ, সদ্র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মেজিস্ট্রেটগন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, এপর্যন্ত জেলায় সারে ৩ লক্ষ্য মিটার জাল ও ১৮’শ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। ১ লক্ষ্য টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এবং অর্ধশত জেলেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন,’সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অন্যান্য জেলার মতো পটুয়াখালীতেও তা কঠর ভাবে পালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আমাদের প্রশাসন দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিপুল পরিমাণ জাল আটক করা হয়েছে, প্রায় অর্ধশত জেলেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, নৌযান আটক করা হয়েছে। এই অভিজান আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আরও জোরাল ভাবে অব্যাহত থাকবে।
জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন,’ অবরোধ চলাকালীন সময় আমরা সকলে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের জেলায় ৭৯ হাজার জেলে রয়েছে। যাদের মধ্যে সামান্য কিছু সংখ্যক জেলে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করছে। তাদেরকে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। জেলার প্রায় ৬৫ হাজার নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমরা সকল চাল বিতরণ সম্পন্ন করতে পারবো।